বোদ্ধ সন্ত বা বৌদ্ধ মহাপুরুষ বুদ্ধদের শিক্ষানীতি এবং ধর্মদর্শনের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত। গৌতম বুদ্ধ, যেহেতু বোদ্ধ ধর্মের প্রথম সংস্থাপক ছিলেন, তিনি একজন বোদ্ধ সন্ত ছিলেন।
গৌতম বুদ্ধ, সিদ্ধার্থ গৌতম নামে জন্মগ্রহণ করেন সাক্য বংশে, যা আজকে নেপালের লুম্বিনী নামক স্থানে অবস্থিত। তিনি সম্পূর্ণ জীবনের পথে দুঃখ এবং বিশেষ অনুভব করে এবং সেই দুঃখ এবং জীবনের অস্থায়ীতা সম্পর্কে চিন্তা করেন। এই চিন্তা তার বোদ্ধ ধর্মের আধার হয়।
গৌতম বুদ্ধের শিক্ষানীতি চারটি মুখ্য সত্যের উপর নির্ভর করে:
১. জীবন দুঃখময়: বুদ্ধ মহাপুরুষের মূল দর্শন হল জীবনটি দুঃখময়। তিনি বলেন যে সব মানব জীবন দুঃখ এবং আপত্তির সম্মুখীন।
২. দুঃখের কারণ: বুদ্ধ দুঃখের কারণ এবং উৎপাদন কারণ নামে দুটি প্রধান পরিচ্ছেদ উল্লিখন করেন। দুঃখের কারণ মোহ, অসত্য জ্ঞান, অভ্যন্তরীণ আশা এবং অজ্ঞান বলে বুদ্ধ দেখেন।
৩. দুঃখের সমাপ্তি: বুদ্ধ মহাপুরুষ জীবনের দুঃখ এবং আপত্তি থেমে দেওয়ার উপায় হিসেবে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা আঠটি পথ সূচনা করেন।
৪. বোদ্ধ সম্প্রদায়: গৌতম বুদ্ধের শিক্ষানীতির আলোকে বোদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বৃদ্ধি পায়। এটি মোক্ষের দিকে অগ্রসর হয়।
বোদ্ধ সন্তরা আদর্শ জীবন স্ত্রীত্ব, সমাজিক সেবা, শান্তি, সহমতি এবং দুঃখ সান্ত্বনা সহ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। তাদের শিক্ষানীতি এবং ধর্মদর্শন বিশেষভাবে মানবজীবনে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত এবং অধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির দিকে।